সখিপুর গ্রামের সবুজ বাড়ির উত্তর পাশে ঢালু জমিতে সবজি চাষ করেছেন। দক্ষিণ পাশের জমিতে একটি পেঁপে বাগান করেছেন। এছাড়া তিনি বাড়ির সামনে একটি বীজতলা তৈরি করেছেন।
প্রিয় শিক্ষার্থীবৃন্দ, আজ পানি সেচের প্রয়োজনীয়তা ও কার্যকারিতা বৃদ্ধি সম্পর্কিত আলোচনা করব। আজকের আলোচনার মূল বিষয় হলো- বিভিন্ন প্রকারের সেচ পদ্ধতির ব্যাখ্যা। সবুজ ঢালু জমিতে, ফল বাগানে ও বীজতলায় পানি সেচ পদ্ধতি ব্যাখ্যা করবো।
সখিপুর গ্রামের সবুজ বাড়ির উত্তর পাশে ঢালু জমিতে সবজি চাষ করেছেন। দক্ষিণ পাশের জমিতে একটি পেঁপে বাগান করেছেন। এছাড়া তিনি বাড়ির সামনে একটি বীজতলা তৈরি করেছেন। উপরোক্ত তথ্যের আলোকে নিচের প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও।
- বি.আই.পি, সি.আই.পি, কে.আই.পি, এম.আই.পি ও জি.কে.প্রজেক্ট-এর পূর্ণরূপ লিখ।
- সবুজ ঢালু জমিতে, ফল বাগানে ও বীজতলায় কোন কোন পদ্ধতিতে পানি সেচ দিবে?
- তোমার লেখা পদ্ধতিগুলোর কমপক্ষে একটি করে সুবিধা লেখ।
- পানির অপচয় রোধে কোন সেচ পদ্ধতিটি অধিক কার্যকর- তোমার মতামত দাও।
বি.আই.পি, সি.আই.পি, কে.আই.পি, এম.আই.পি ও জি.কে.প্রজেক্ট-এর পূর্ণরূপ লিখ।
- বি.আই.পি- বরিশাল সেচ প্রকল্প।
- সি.আই.পি- চাঁদপুর সেচ প্রকল্প।
- কে.আই.পি- কর্ণফুলী সেচ প্রকল্প।
- এম.আই.পি- মুহুরী সেচ প্রকল্প।
- জি.কে.প্রজেক্ট- গঙ্গা-কপোতাক্ষ সেচ প্রকল্প।
সবুজ ঢালু জমিতে, ফল বাগানে ও বীজতলায় কোন কোন পদ্ধতিতে পানি সেচ দিবে?
এ পদ্ধতিতে সমতল জমিতে খাল, বিল বা পুকুর হতে আসা পানি দিয়ে প্রধান আলোর সাহায্যে সেচ দেওয়া হয়। সেচের পানি যাতে আশেপাশের জমিতে যেতে না পারে সেজন্য জমির চারদিকে আইল বাঁধতে হয়।
আপনি পছন্দ করতে পারেন-
নবম শ্রেণীর ষষ্ঠ অ্যাসাইনমেন্ট বাংলাদেশের ইতিহাস ও বিশ্বসভ্যতার উত্তর
নবম শ্রেণীর ষষ্ঠ সপ্তাহের পদার্থবিজ্ঞান অ্যাসাইনমেন্ট সমাধান
৯ম শ্রেণি ৬ষ্ঠ সপ্তাহের এ্যাসাইনমেন্ট ২০২১ আইসিটি, পদার্থ, ইতিহাস ও হিসাব বিজ্ঞান
ফল বাগানে বৃত্তাকার সেচ দেয়া হয়।
এই সেচ পদ্ধতিতে সমস্ত জমিতে সেচ না দিয়ে শুধু যে স্থানে গাছ রয়েছে সেখানেই পানি সরবরাহ করা হয়। সাধারণত বহুবর্ষজীবী ফল গাছের গোড়ায় পদ্ধতিতে সেচ দেওয়া হয়। ফল বাগান এর মাঝ বরাবর একটি প্রধান নালা কাটা হয়। অতঃপর প্রতি গাছের গোড়ায় বৃত্তাকার নালা কাটা হয় এবং প্রধান নালার সাথে সংযোগ দেয়া হয়।
বীজতলায় ফোয়ারা সেচ দেয়া হয়।
ফসলের জমিতে বৃষ্টির মতো পানি সেচ দেওয়াকে ফোয়ারা সেচ বলে। শাকসবজির খেতে এই পদ্ধতিতে সেচ দেওয়া হয়। আমাদের দেশে বীজতলায় কিংবা চারা গাছে ঝাঁঝরি দিয়ে যে সেচ দেওয়া হয় তাও ফোয়ারা সেচ।
তোমার লেখা পদ্ধতিগুলোর কমপক্ষে একটি করে সুবিধা লেখ।
প্লাবন সেচের সুবিধা হলোঃ
-রোপা ফসল বা শস্য ছিটিয়ে বোনা জমিতে প্লাবন সেচ কার্যকর হয়।
-শ্রম ও সময় উভয়ই কম লাগে।
-জমির মধ্যে নালার দরকার হয় না।
বৃত্তাকার সেচের সুবিধা হলোঃ
-পানির অপচয় হয় না।
-পানি নিয়ন্ত্রণ সহজ হয়।
ফোয়ারা সেচের সুবিধা হলোঃ
-সবজির পাতায়, কান্ডে আলাদাভাবে পানি পৌঁছায়।
পানির অপচয় রোধে কোন সেচ পদ্ধতিটি অধিক কার্যকর- তোমার মতামত দাও।
পানির অপচয় রোধে ‘বৃত্তাকার সেচ’ পদ্ধতিটি অধিক কার্যকর।
এই সেচ পদ্ধতিতে সমস্ত জমিতে সেচ না দিয়ে শুধু যে স্থানে গাছ রয়েছে সেখানেই পানি সরবরাহ করা হয়। সাধারণত বহুবর্ষজীবী ফল গাছের গোড়ায় পদ্ধতিতে সেচ দেওয়া হয়। ফল বাগান এর মাঝ বরাবর একটি প্রধান নালা কাটা হয়। অতঃপর প্রতি গাছের গোড়ায় বৃত্তাকার নালা কাটা হয় এবং প্রধান নালার সাথে সংযোগ দেয়া হয়। বৃত্তাকার সেচের সুবিধা হলোঃ
-পানির অপচয় হয় না।
-পানি নিয়ন্ত্রণ সহজ হয়।