শিশুর বয়সের উপর ভিত্তি করে শিশুকালের বিভিন্ন নামকরণ করা হয়েছে। নিম্নোক্ত ছকে নাম অনুযায়ী শিশুকালের বয়সসীমা এবং তাদের বৈশিষ্ট্য লিখ।
১। শিশুর বয়সের উপর ভিত্তি করে শিশুকালের বিভিন্ন নামকরণ করা হয়েছে। নিম্নোক্ত ছকে নাম অনুযায়ী শিশুকালের বয়সসীমা এবং তাদের বৈশিষ্ট্য লিখ।
শিশুকালের নাম – বয়স সীমা – বৈশিষ্ট্য
১. নবজাতককাল, ২. অতি শৈশবকাল, ৩. প্রারম্ভিক শৈশব, ৪. মধ্য শৈশব;
তুমি কী সব বয়সের শিশুর সাথে একই ধরনের আচরণ করবে? যুক্তি দিয়ে বােঝাও।
৬ষ্ঠ শ্রেণি ৬ষ্ঠ সপ্তাহের এ্যাসাইনমেন্ট ২০২১ গার্হস্থ্য বিজ্ঞান উত্তর
বিকাশের নমুনায় কতগুলো ধাপ বা পর্যায় আছে: জন্মমুহূর্ত হতে পরিণতি লাভ পর্যন্ত সময়কে বয়স ও বৈশিষ্ট্যের ভিত্তিতে কতগুলো ধাপে বিভক্ত করা হয়েছে।
প্রত্যেক ধাপের যেমন নিজস্ব বিশেষ বৈশিষ্ট্য রয়েছে তেমনি বিভিন্ন ধাপের বিকাশমূলক কাজও ভিন্ন রকম। মনোবিজ্ঞানীগণ বিভিন্ন বয়সের বৈশিষ্ট্য ও বিকাশমূলক পরিবর্তনের ধারা অনুযায়ী জন্মমুহূর্ত থেকে বয়ঃসন্ধিক্ষণ পর্যন্ত এবং মৃত্যু পর্যন্ত বয়সকে কতগুলো ভাগে বিভক্ত করেছেন:
শিশুর বয়সের উপর ভিত্তি করে শিশুকালের বিভিন্ন নামকরণ করা হয়েছে। নিম্নোক্ত ছকে নাম অনুযায়ী শিশুকালের বয়সসীমা এবং তাদের বৈশিষ্ট্য
শিশুকালের নাম | বয়স সীমা | বৈশিষ্ট্য |
১. নবজাতককাল | ভূমিষ্ঠ হওয়ার পর থেকে ২ সপ্তাহ বা ১৪ দিন | ১. প্রতিদিন ১৮ থেকে ২০ ঘন্টা ঘুমায়, ২. দুই থেকে তিন ঘণ্টা পরপর ঘুম থেকে জেগে উঠে, ৩. ঠোঁটের কাছে কিছু রাখলে চুষে খেতে চায়, ৪. হঠাৎ কোন শব্দ হলে শিশুর চমকে উঠে, ৫. মলমূত্র ত্যাগের পর আবার ঘুমায়, |
২. অতি শৈশবকাল | ২ সপ্তাহ থেকে ২ বছর | ১.শিশুর বিকাশ দূরত্ব হয়, ২.শিশু হাঁটতে পারে, ৩.শিশু কথা বলতে শিখে, ৪.শিশুর ওজন দ্রুত বৃদ্ধি পায়, ৫.শিশু খেলাধুলা করে, |
৩. প্রারম্ভিক শৈশব | ২ বছর থেকে ৬ বছর | ১.শিশু অনেক বেশি প্রশ্ন করে, ২.শিশু স্কুলে যাওয়ার প্রস্তুতি নেয়, ৩. শিশু অনেক বেশি শিখতে চাই, ৪.শিশুর প্রচুর পরিমাণে কথা বলে, |
৪. মধ্য শৈশব | ৬ বছর থেকে ১০ বছর | ১.শিশুর শারীরিক বিকাশ ধীর গতিতে চলে, ২.সকল শিশু স্কুলে যায়, ৩.শিশুদের মধ্যে প্রয়োজনীয় দক্ষতা তৈরি হয়, ৪.নিজের কাজ নিজে করতে চায়, ৫.বন্ধুসভাব বৃদ্ধি পায়, |
সব বয়সের শিশুর সাথে একই ধরনের আচরণ করবে। কারন বিভিন্ন বয়সের শিশুর সাথে শিশুর মধ্যে চারিত্রিক বৈশিষ্ট্য পার্থক্য থাকলেও সকলেই শিশু।
যেকোন বয়সের শিশু হোক না কেন তাদের সাথে আমি যদি ভাল আচরণ করে তাহলে তারা ছোট হোক বা বড় হোক সকলের সাথে ভালো আচরণ করবে।
কিন্তু আমরা যদি কম বয়সী শিশুদের সাথে খুব ভালো ব্যবহার করি কিন্তু বেশি বয়সের শিশুদের তেমন আচারণ না করি, আর বড় শিশুরা ভুল করলে তা শুধরে না দিয়ে শাসন করি।
তাহলে তাদের মন মানসিকতা ভেঙে যাবে, যার ফলে তাদের নানা রকমের বিপদের বা খারাপ কাজে জরিয়ে পরবে ।
তাই আমাদের সকলের উচিত সকল শিশুদের সাথে ভালো আচরণ প্রদশণ করা।
আজকের শিশু আগামী দিনের ভবিষ্যৎ তাহলে সব শিশুরা একদিন দেশের নাম সারা বিশ্বে উজ্জ্বল করবে।