Pallab gardening home

পল্লব যখন মামার বাড়িতে গিয়েছিল তখন কাজিনদের সাথে অনেক সুন্দর সময় কাটায়, পল্লবের মামা কাজিনদের সহযোগিতায় বাড়ির আঙ্গিনায় সবজি চাষ করেছেন।

পল্লব যখন মামার বাড়িতে গিয়েছিল তখন কাজিনদের সাথে অনেক সুন্দর সময় কাটায়। পল্লবের মামা কাজিনদের সহযোগীতায় বাড়ির আঙ্গিনায় সবজি চাষ করেছেন। সেখান থেকে টমেটো, বেগুন, আলু, ডাটা নিজ হাতে তুলে এনে পল্লবকে টাটকা সবজির সাথে পরিচয় করিয়ে দিলেন। কিন্তু পল্লবের নজরে এলো সবজি বাগানের কোন কোন গাজের পাতায় বাদামীও কালো দা ফুটে উঠেছে, একটা বেগুন গাছ ঢলে পড়ে আছে এবং আলু গাছের পাতায় ঝলসানো অবস্থা সৃষ্টি হয়েছে।

পল্লব উক্ত সমস্যাগুলো নিচের প্রশ্নের উত্তরের মাধ্যমে কিভাবে সমাধান করতে পারে-

১। গাছের পাতা কেন ঝলসে যায়?
২। গাছের চারা কেন ঢলে পড়ে?
৩। গাছের পাতায় বাদামী, কালো বর্ণের দাগে গাছের কি ক্ষতি হয়?
৪। এ ধরনের পরিস্থিতি থেকে কীভাবে গাছের রোগ প্রতিরোধ করা যায়?

https://i0.wp.com/i.imgur.com/StOyNb0.jpg?w=1290&ssl=1

৮ম শ্রেনী কৃষি শিক্ষা ৬ষ্ঠ সপ্তাহের সমাধান

গাছের পাতা কেন ঝলসে যায়?

উত্তরঃ জীবের চারপাশে ভাইরাস, ব্যাকটেরিয়াসহ আরো অনেক অনুজীব আছে যারা ফসলের রোগ-বালাই ছড়ায়। উদ্ভিদের ধ্বসা রোগের কারণে পাতা ঝলসে যায়। যেমন- ধান ও আলুর ধ্বসা রোগ।

গাছের চারা কেন ঢলে পড়ে?

অনেক সময় ফসলের কান্ড ও শিকড় রোগে আক্রান্ত হলে ফসলের শাখাগুলো মাটির দিকে ঝুলে পড়ে। এই অবস্থাকে ঢলে পড়া রোগ বলে। যেমন- বেগুনের ঢলে পড়া রোগ। গাছের পাতা ঢলে পড়া, ঝলসে পড়ার কারণ গাছের পাতা ঝলসে পড়া, ঢলে পড়ার কারণ।

গাছের পাতায় বাদামী, কালো বর্ণের দাগে গাছের কি ক্ষতি হয়?

ফসলের পাতায়, কাণ্ডে বা ফলের গায়ে নানা ধরনের দাগ বা স্পট দেখা দেয়। দাগের রঙ কালো, হালকা বাদামি, গাঢ় বাদামি কিংবা দেখতে পানিতে ভেজার মতো হয়।

ফসলের এসব দাগ বিভিন্ন রোগের কারণে হয়। যার ফলে ফসলের বৃদ্ধি ঠিকমতো হয় না, দেখতে দুর্বল ও লিকলিকে হয়, ফুল অথবা ফল ঝরে যায় এমনকি গাছ মরেও যায়।

এ ধরনের পরিস্থিতি থেকে কীভাবে গাছের রোগ প্রতিরোধ করা যায়?

রোগাক্রান্ত হওয়ার পূর্বে ফসলের রোগের প্রতিকারের ব্যবস্থা নিতে হয়। কারণ, ফসল একবার রোগাক্রান্ত হয়ে গেলে প্রতিকার করা কঠিন। তাই রোগের প্রাদুর্ভাব ঘটার আগে নিচে উল্লিখিত প্রযুক্তিগুলো ব্যবহার করা জরুরিঃ

জীবাণুমুক্ত বীজ ব্যবহার করা : বীজের মাধ্যমে অনেক রোগ ছড়ায়। তাই কৃষককে নীরোগ বীজ সংগ্রহ করতে হবে বা বীজ শোধন করতে বলতে হবে।

বীজ শোধন : অনেক বীজ আছে নিজেরাই রোগ বহন করে। বীজ বাহিত রোগ জীবাণু নিরোগ করার জন্য বীজ শোধন একটি উত্তম প্রযুক্তি। এজন্য ছত্রাক নাশক ব্যবহার করা হয়।

পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন ফসল আবাদ করা : ফসলের ক্ষেতে আগাছা থাকলে ফসল রোগাক্রান্ত হয়ে পড়ে। কারণ আগাছা অনেক রোগের উৎস। তাই আগাছা পরিষ্কার করে চাষাবাদ করতে হবে।

রোগাক্রান্ত গাছ পুড়িয়ে ফেলা বা মাটিতে পুঁতে ফেলা : এক গাছ রোগাক্রান্ত হলে অন্য গাছেও ছড়িয়ে পড়ে। যাতে রোগ পুরো মাঠে ছড়িয়ে পড়তে না পারে সেজন্য নির্দিষ্ট রোগাক্রান্ত গাছটি তুলে পুড়িয়ে ফেলতে হবে। নতুবা মাটি খুঁড়ে পুঁতে ফেলতে হবে।

Similar Posts