একজন আত্মমর্যাদাবান মানুষ হিসেবে কোন কোন বৈশিষ্ট্য তােমার মধ্যে আছে? আর কি কি বৈশিষ্ট্য নিজের মধ্যে দেখতে চাও এবং কেন?
ষষ্ঠ শ্রেণীর শিক্ষার্থীদের জন্য ২০২১ শিক্ষাবর্ষের পঞ্চম সপ্তাহের অ্যাসাইনমেন্টে কর্ম ও জীবনমুখী শিক্ষা বিষয়ের প্রথম অধ্যায় থেকে একটি এসাইনমেন্ট দেয়া হয়েছে। শিক্ষার্থীরা নিয়ম অনুসরণ করে পঞ্চম এসাইনমেন্ট কর্ম ও জীবনমুখী শিক্ষা সমাধান লিখবে এবং নির্ধারিত সময়ের পূর্বে সংশ্লিষ্ট বিষয় শিক্ষকের নিকট জমা দিবে।
অ্যাসাইনমেন্ট বা নির্ধারিত কাজের ক্রম : অ্যাসাইনমেন্ট বা নির্ধারিত কাজ-১, অধ্যায়ও অধ্যায়ের শিরোনাম : প্রথম অধ্যায়- কর্মেই আনন্দ, পাঠ্যসূচিতে অন্তর্ভুক্ত পাঠ নম্বর ও বিষয়বস্তু : পাঠ ১ : আত্মমর্যাদার ধারণা, পাঠ ২-৪ : কাজের ক্ষেত্রে আত্মমর্যাদা;
অ্যাসাইনমেন্ট বা নির্ধারিত কাজ :
একজন আত্মমর্যাদাবান মানুষ হিসেবে কোন কোন বৈশিষ্ট্য তোমার মধ্যে আছে? আর কি কি বৈশিষ্ট্য নিজের মধ্যে দেখতে চাও এবং কেন?
নির্দেশনা- ১. আত্মমর্যাদার ধারণা দিবে। আত্মমর্যাদার বৈশিষ্ট্য উল্লেখ করবে। আত্মমর্যাদাবান মানুষের আর কোন কোন বৈশিষ্ট্য তার মধ্যে দেখতে চায় এবং কেন? যুক্তিসহ লিখবে। এ বিষয়ে পাঠ্যপুস্তক ও প্রয়োজনে অভিভাবকদের সহযোগিতা নিবে।
৬ষ্ঠ শ্রেণি ৫ম সপ্তাহের এ্যাসাইনমেন্ট কর্ম ও জীবনমুখী শিক্ষা উত্তর
২০২১ সালের ষষ্ঠ শ্রেণীতে অধ্যয়নরত শিক্ষার্থীদের জন্য পঞ্চম সপ্তাহে প্রদত্ত কর্ম ও জীবনমুখী শিক্ষা অ্যাসাইনমেন্ট এর একটি উত্তর যথাযথ মূল্যায়ন নির্দেশনা এবং মূল্যায়ন রুবিকস অনুসরণ করে দেওয়া হল। এটি অনুসরণ করে তোমাদের ষষ্ঠ শ্রেণীর পঞ্চম সপ্তাহের কর্ম জীবন মুখী শিক্ষা বিষয়ের অ্যাসাইনমেন্টের উত্তর লিখলে ভাল ফলাফল পাবেন বলে আশা করছি।
ভূমিকাঃ মানুষের চরিত্রে আত্মমর্যাদাবোধ একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বৈশিষ্ট্য। একজন মানুষ হিসেবে প্রত্যেকের কর্মজীবনে এবং ব্যক্তিগত জীবনে আত্মমর্যাদাবোধ থাকা উচিত। একজন আত্মমর্যাদাবান ব্যক্তি সমাজের খুব সহজে প্রতিষ্ঠিত হতে পারে। সমাজের সকল স্তরের মানুষ দ্বারা সম্মানিত হয় এবং কর্ম জীবনে সফলতা লাভ করেন।
আত্মমর্যাদার ধারণা: ‘আত্ম’ অর্থ ‘নিজ’ আর ‘মর্যাদা’ অর্থ ‘সম্মান’। অতএব, আত্মমর্যাদা বলতে ‘নিজের প্রতি সম্মান’ কে বোঝায়।
আত্মমর্যাদার বৈশিষ্ট্য:
১. নিজের কাছে নিজের সম্মান ও মানুষ হিসেবে নিজের পরিচয় সম্পর্কে সচেতন থাকা।
২. নিজের পরিবেশ ও নিজের অবস্থান সম্পর্কে সচেতন থাকা এবং সে অনুযায়ী আচরণ করা।
৩. অন্যায় কাজ করতে লজ্জাবোধ করা।
৪. মানুষ হিসেবে সকল মানুষের কাছে গ্রহণযোগ্য আচরণ করা।
৫. ভালো ও নতুন কিছু চিন্তা করা আত্মমর্যাদাবোধের পরিচয় বহন করে।
৬. সবার কাছে গ্রহণযোগ্য রুচিবোধের প্রকাশ আত্মমর্যাদাবোধের পরিচয়।
আত্মমর্যাদাবান মানুষের আর যে যে বৈশিষ্ট্য আমার নিজের মধ্যে দেখতে চাই এবং তার কারণ যুক্তিসহ লিখা হলো-
আমাদের আত্মমর্যাদার প্রকাশ ঘটে কাজের মাধ্যমেই। নিজের কাজ নিজে করাটা আত্মমর্যাদার পরিচায়ক।
গুরুজনের চাওয়া-পাওয়াকে শ্রদ্ধা করা এবং তাদের মতামত মেনে চলার চেষ্টা করাও আত্মমর্যাদাবোধের পরিচয় বহন করে।
একজন আত্মমর্যাদাবোধ সম্পন্ন মানুষ অন্যের অসুবিধা হয় এমন কিছু কখনোই করেন না।
সবসময় পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন থাকা, গণসাক্ষরতা অভিযান অনুযায়ী আত্মমর্যাদা সম্পর্কে সচেতনতার পরিচয় বহন করে।
অন্যের কাজের প্রতি শ্রদ্ধা দেখানো এবং সম্ভব হলে অন্যকে তার কাজে যথাসাধ্য সাহায্য করাও আত্মমর্যাদাবোধের বহিঃপ্রকাশ।
নিজের অধিকার সম্পর্কে সচেতন থাকা আত্মমর্যাদার অন্তর্ভুক্ত।
উপসংহারঃ একজন মানুষ হিসেবে সমাজের চলার জন্য অবশ্যই তাকে আত্মমর্যাদাবান হয়ে ওঠা উচিত। একজন আত্মমর্যাদাবান মানুষ হিসেবে আমি উপরোক্ত বিষয় সমুহ আমার চরিত্রে অবলম্বন করে সামনের জীবনে এগিয়ে যেতে চাই।