এই চারটি চিত্র অংকন করে কোনটি কায়িক শ্রম ও কোনটি মেধাশ্রম এবং কেন?

এ্যাসাইনমেন্ট বা নির্ধারিত কাজ

ক. বিদ্যালয়ের পাঠাগারে শিক্ষার্থীরা পড়ালেখা করছে।
খ. শিক্ষার্থীরা শ্রেণিকক্ষ পরিষ্কার করছে।
গ. শ্রেণিতে শিক্ষক পাঠদান করছে।
‘ঘ. শিক্ষক বই বিতরণ করছেন।

এই চারটি চিত্র অংকন করে কোনটি কায়িক শ্রম ও কোনটি মেধাশ্রম এবং কেন?

নির্দেশনা: পেন্সিল দিয়ে চিত্রগুলাে আঁকতে বলুন। প্রয়ােজনে পাঠ্যপুস্তকের সাহায্য নিতে বলুন। এ্যাসাইনমেন্ট সঠিক সময়ে জমা প্রদান।

বিদ্যালয়ের পাঠাগারে শিক্ষার্থীরা পড়ালেখা করছে।
https://i0.wp.com/i.imgur.com/YaVmuuc.jpg?resize=930%2C720&ssl=1
শিক্ষার্থীরা শ্রেণিকক্ষ পরিষ্কার করছে
https://i0.wp.com/i.imgur.com/tXsEl1t.jpg?resize=930%2C720&ssl=1
শ্রেণিতে শিক্ষক পাঠদান করছে
https://i0.wp.com/i.imgur.com/5udDqcW.jpg?resize=930%2C720&ssl=1
শিক্ষক বই বিতরণ করছেন

৮ম শ্রেণি ৫ম সপ্তাহের এ্যাসাইনমেন্ট কর্ম ও জীবনমুখী শিক্ষা উত্তর

মানুষ তার শারীরিক শক্তি দিয়ে কোন কাজে যে শ্রম দেয়, তাকে কায়িক শ্রম বলে। আর মস্তিষ্ককে কাজে লাগিয়ে মানুষ তার মেধা মনন দিয়ে যে শ্রম দেয়, তাকে মেধাশ্রম বলে। সহজভাবে বলতে গেলে মানুষের চিন্তাভাবনাই মেধাশ্রম। জীবনে বেঁচে থাকার জন্য কায়িক ও মেধা দুই প্রকার শ্রমই সমান গুরুত্বপূর্ণ। মেধাশ্রম মূলত কাজের প্রেরণা যোগায়। আর শারীরিক শ্রম তা সমাধান করতে সাহায্য করে। শ্রমই মানুষকে বেঁচে থাকার রসদ যোগায়।

দৈনন্দিন জীবনে আমরা প্রতিনিয়ত নানা কাজ করে থাকি। এসব কাজ আমাদেরকে শারীরিকভাবে সুস্থ রাখতে সাহায্য করে। আমাদের সমাজের নানা পেশার মানুষ রয়েছেন। যেমন- কামার, কুমার, তাঁতী, জেলে ইত্যাদি। তারা সবাই নিজ নিজ কাজ করেন বলেই আমরা আরামদায়ক জীবন-যাপন করতে পারি। কায়িক শ্রম আমাদের দেহ ও মনের জন্য খুবই জরুরী। এ শ্রম শরীরের কার্যক্ষমতা ঠিক রাখে এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়।

বিদ্যালয়ের পাঠাগারে শিক্ষার্থীরা পড়ালেখা করছে– এ কাজটি মেধাশ্রম। কারণ বই পড়তে আমাদের শারীরিক শক্তির তুলনায় মেধা শক্তির অধিক প্রয়োগ করতে হয়। বই পড়ে আমরা অনেক কিছু শিখতে পারি, জানতে পারি। আর এক্ষেত্রে মেধা শক্তির ভূমিকা মুখ্য বলেই, বইপড়া মেধাশ্রমের উদাহরণ।

শিক্ষার্থী কর্তৃক শ্রেণিকক্ষ পরিষ্কার করার কাজ হচ্ছে কায়িক শ্রমের উদাহরণ। কারণ শ্রেণিকক্ষ পরিষ্কার করতে হলে আমাদের শরীরের শক্তির প্রয়োজন হয়। যেহেতু আমাদের শরীরের ব্যবহার হচ্ছে, তাই শিক্ষার্থী কর্তৃক শ্রেণিকক্ষ পরিষ্কার করা একটি কায়িক শ্রম।

শ্রেণীতে শিক্ষক পাঠদান করছেন– এ কাজ হচ্ছে মেধাশ্রম। কারণ শ্রেণীতে কোন বিষয়ে পড়াতে হলে শিক্ষককে অনেক কিছু পড়তে হয়, ভাবতে হয়, কল্পনা করতে হয়। যেহেতু শিক্ষকতা করতে হলে মেধা খাটাতে হয়, তাই শিক্ষকতা করা এক ধরনের মেধাশ্রম।

শিক্ষকের বই বিতরণ একটি কায়িকশ্রম। বই বিতরণ করতে শরীরের প্রয়োজন হয় ; মেধার প্রয়োজন হয় না। যেহেতু শুধুমাত্র শারীরিক শক্তি ব্যবহার করে শিক্ষক বই বিতরণ করছেন, তাই এই কাজ কায়িক শ্রমের উদাহরণ।

Similar Posts