বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন সহপাঠির প্রতি আচরণ কেমন হওয়া উচিত
বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন সহপাঠির প্রতি তোমার আচরণ কেমন হওয়া উচিত বা অনুচিত তা একটি ছকের মাধ্যমে তুলে ধরো।
যে সকল শিশুর ইন্দ্রিয় ক্ষমতা বুদ্ধি বা শারীরিক ক্ষমতা এতটাই ভিন্ন যে কারণে তাদের জন্য বিশেষ শিক্ষা বা বিশেষ ব্যবস্থা গ্রহণের প্রয়োজন হয়, সেই সকল শিশুকে বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন শিশু বলা হয়। বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন শিশু বলতে সেইসব শিশুদের বুঝায় সমবয়স্কদের তুলনায় যাদের বুদ্ধি সংবেদন, শারীরিক বৈশিষ্ট্য, ভাব বিনিময় ক্ষমতা ও সামাজিক ক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য মাত্রার কম বা বেশি হয় তাকেই ব্যতিক্রমী শিশু বলে আখ্যায়িত করা হয়। অর্থাৎ যারা সাধারণের বাইরে তারাই বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন শিশু।
বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন শিশুদের শিক্ষাদানের ক্ষেত্রে নির্দিষ্ট কিছু শিক্ষা পদ্ধতি ভালো ফল দেয় । এ ধরনের শিশুদের যদি জটিল বিষয়কে সহজ-সরলভাবে ধাপে ধাপে উপস্থাপন করে শেখানো যায় তবে তারা সহজে বুঝতে পারবে। শ্রেণীকক্ষ ব্যবস্থাপনা পদ্ধতির মাধ্যমে শিশুদের শিক্ষাদান করা যেতে পারে।
আমার শ্রেণিতে বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন শিশু থাকলে তার প্রতি আমার অনেক দায়-দায়িত্ব থাকবে।
বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন সহপাঠীর প্রতি আমার আচরণ যেমন হওয়া উচিত বা অনুচিত তা একটি ছকের মাধ্যমে তুলে ধরা হলো-
আমার আচরণ যেমন হওয়া উচিত-
- বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন শিক্ষার্থীদের প্রথম সারিতে বসানোর ব্যবস্থা করতে পারি।
- তাদেরকে কথা বলার বা দেখানোর সুযোগ দেওয়ার ব্যবস্থা করতে পারি।
- কিছু না বুঝলে অথবা বুঝতে অসুবিধা হলে বুঝিয়ে দিতে পারি।
- সহজ, সরল ও সাবলীল ভাষায় তাদের সাথে কথা বলতে পারে।
- তাদের সাথে সর্বদা ভালো আচরণ করতে পারি।
- তাদেরকে যে কোন সমস্যায় সর্বোচ্চ সহযোগিতা করতে পারি।
- তাদের কোনো অসুস্থতা দেখা দিলে বিলম্ব না করে শিক্ষকদের জানাতে পারি।
- তাদেরকে সব সময় হাসিখুশি তথা বিনোদনের মধ্যে রাখতে পারি।
- শ্রেণীর অন্যান্য শিক্ষার্থীরাও যেন তাদের প্রতি সহানুভূতিশীল হতে পারে সে ব্যবস্থা করতে পারি।
- তাদের সাথে ভাই বোনের মতো আচরণ করতে পারি l
বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন সহপাঠির
আমার আচরণ যেমন হওয়া উচিত নয়-
- তাদেরকে পেছনে রেখে সামনের সারিতে বসা উচিত নয়।
- তাদের সাথে কথা বলা উচিত নয়।
- তাদেরকে কথা বলায় বাধা দেওয়া উচিত নয়।
- তাদের সাথে কখনোই খারাপ আচরণ করা উচিত নয়।
- তাদেরকে কখনোই প্রতিবন্ধী কিংবা অটিস্টিক বলা যাবে না।