islamic pic

তােমার চাচা প্রতি বছরেই একটি নির্ধারিত সময়ে তার অর্থের হিসাব-নিকাশ করেন। এ বছর হিসাব করে তিনি দেখতে পান যে, তার নগদ উদ্বৃত্তের পরিমাণ ৪ লক্ষ টাকা

তোমরা কি ৮ম শ্রেণির ৭ম সপ্তাহের ইসলাম ও নৈতিক শিক্ষা এসাইনমেন্টের উত্তর সম্পর্কে ধারণা নিতে চাচ্ছো? কিংবা এসাইনমেন্টটি কিভাবে প্রস্তুত করতে হয় সে সম্পর্কে জানতে আগ্রহী? তাহলে বলবো তোমরা ঠিক ওয়েবসাইটে এসেছো। তোমাদের জন্য আজকের আর্টিকেলটিতে রয়েছে- শরিয়তের বিধান মতে যাকাত প্রদানের উপর কর্ম পরিকল্পনা।

এ্যাসাইনমেন্ট বা নির্ধারিত কাজের ক্রমঃ নির্ধারিত কাজ-২, অধ্যায় ও অধ্যায়ের শিরােনামঃ দ্বিতীয় অধ্যায় ইবাদত

পাঠ্যসূচিতে অন্তর্ভুক্ত পাঠ নম্বর ও বিষয়বস্তুঃ পাঠ-১: যাকাত, পাঠ-২: যাকাত ফরজ হওয়ার শর্ত, পাঠ-৩: যাকাতের মাসারিফ, পাঠ-৪: যাকাতের গুরুত্ব ও তাৎপর্য।

এ্যাসাইনমেন্ট বা নির্ধারিত কাজঃ তােমার চাচা প্রতি বছরেই একটি নির্ধারিত সময়ে তার অর্থের হিসাব-নিকাশ করেন। এ বছর হিসাব করে তিনি দেখতে পান যে, তার নগদ উদ্বৃত্তের পরিমাণ চার লক্ষ টাকা। তিনি শরিয়তের বিধান মতে কীভাবে যাকাত প্রদান করবেন তার উপর কর্ম পরিকল্পনা।

সংকেত :

  • যাকাত ফরজ হওয়ার শর্ত,
  • প্রদেয় যাকাতের পরিমাণ নির্ধারণ,
  • তার এলাকায় যাদেরকে যাকাত দেয়া যায় এর তালিকা,
  • যাকাত হিসাবে তিনি কী কী দিতে পারে তার তালিকা।

নির্দেশনাঃ পাঠ্যপুস্তক থেকে উক্ত বিষয়ে ধারণা নেয়া যেতে পারে, প্রয়ােজনে অভিভাবকের সহযােগিতা নেয়া যেতে পারে, মােবাইল বা যে কোন ভার্চুয়াল মিডিয়ার মাধ্যমে বিষয় শিক্ষকের সাথে যােগাযােগ করা যেতে পারে। ইন্টারনেটের সাহায্য নেয়া যেতে পারে। এ্যাসাইনমেন্ট স্বহস্তে লিখতে হবে।

৮ম শ্রেণির ৭ম সপ্তাহের এসাইনমেন্ট ইসলাম ও নৈতিক শিক্ষার উত্তর

শরিয়তের বিধান মতে যাকাত প্রদানের উপর কর্ম পরিকল্পনা-

যাকাত’ আরবি শব্দ। এর আভিধানিক অর্থ বৃদ্ধি, পবিত্রতা, পরিছন্নতা ইত্যাদি। ইসলামিক পরিভাষায় ধনী ব্যক্তিদের নিসাব (নির্ধারিত) পরিমাণ সম্পদ থাকলে নির্দিষ্ট অংশ গরিব অভাবী লোকদের মধ্যে বিতরণ করে দেওয়াকেই যাকাত বলে।

আল্লাহ তায়ালা চান সম্পদ মানুষের কল্যাণে ব্যয় হোক, সমাজের সামগ্রিক অর্থনৈতিক অবস্থার উন্নতি হোক। এ বিবেচনায় যাকাত অর্থ বৃদ্ধি। বিত্তশালীদের সম্পদে দরিদ্রের অধিকার আছে। কাজেই গরিবের নির্ধারিত অংশ দিয়ে দিলে অবশিষ্ট সম্পদ ধনীদের জন্য পবিত্র হয়ে যায়। এ দিক বিবেচনায় যাকাত অর্থ পবিত্রতা। যাকাত দিলে সম্পদে আল্লাহ বরকত দান করেন। ইসলামের পাঁচটি গুরুত্বপূর্ণ রোকনের মধ্যে যাকাত অন্যতম। কোরআন মাজিদের বহু জায়গায় সালাতের সাথে যাকাত আদায়ের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

আল্লাহ তায়ালা বলেন-

وأقيموا الصلوة والواالتكوة

অর্থঃ” আর তোমরা নামায কায়েম করা এবং যাকাত প্রদান কর।”(সূরা আল মুহজাম্মিল, আয়াত ২০)

শরীয়তের বিধান অনুযায়ী নামাজ আদায় করলে, আদায়কারী জন্য যেমন পুরস্কারের ঘোষণা আছে, তেমনি যাকাত (ফরজ হলে) আদায়কারীর জন্য সুসংবাদ রয়েছে। যেমন, যাকাত দিলে মাল পবিত্র হয় এবং সম্পদে আল্লাহ তা’আলা বরকত দেন। যাকাত প্রদানকারীদের আখিরাতে অধিক পরিমাণ পুরস্কার দেওয়া হবে যা মানুষ কল্পনাও করতে পারবে না।

হাদিসে কুদসীতে আছে, “আল্লাহ তা’আলা তাঁর বান্দাকে বলেন, হে বনী-আদম! আমার পথে খরচ করতে থাকো। আমি আমার অফুরন্ত ভান্ডার থেকে তোমাদের দিতে থাকব” (বুখারী ও মুসলিম)।

যাকাত আদায় কারীদের সম্পর্কে আল্লাহ তায়ালা বলেনঃ

وقال الله إلى معكم «لين المتعه الصلوة وأتيتم الزكوة

অর্থঃ”আর আল্লাহ বলেছিলেন আমি অবশ্যই তোমাদের সাথে আছি, যদি তোমরা নামায কায়েম করএবং যাকাত দাও।”(সুরা আল মায়িদা, আয়াত ১২)

যাকাত হলো দরিদ্রের আল্লাহ প্রদত্ত অধিকার। ধনীদের দয়া বাঅনুগ্রহ নয়। বরং এটি আদায় করা ধনীদের উপর ফরয। এপ্রসঙ্গে আল্লাহ তায়ালা বলেনঃ

وفي أموالهم على يلشايل والتخرؤم

অর্থঃ”তাদের (ধনীদের) ধন-সম্পদে অবশ্যই দরিদ্র ও বঞ্চিতদের অধিকার রয়েছে।”( সূরা আয- যারিয়াত, আয়াত ১৯)

যাকাত ফরজ হওয়ার শর্ত সাতটি। শর্তগুলোর বিবরণ নিচে দেওয়া হলঃ

  • মুসলমান হওয়াঃ
    যাকাত ফরজ হওয়ার প্রথম শর্ত হলো মুসলমান হওয়া। অমুসলিমদের উপর যাকাত ফরয নয়। কাজেই কোন ব্যক্তি ইসলাম গ্রহণ করলে তাকে তার অতীত জীবনের যাকাত দিতে হবে না। যেদিন মুসলমান হবে সেদিন থেকেই হিসাব করে যাকাত দিতে হবে।
  • নিসাবের মালিক হওয়াঃ
    যে পরিমাণ সম্পদের মালিক হলে শরীয়তে যাকাত ফরয হয়, সে পরিমাণ সম্পদের মালিক হওয়া।
  • নিসাব পরিমাণ সম্পদ প্রয়োজনের অতিরিক্ত হওয়াঃ
    যেসব দ্রব্যের উপর মানুষের জীবনযাপন নির্ভর করে, সেসব জিনিসপত্র কে প্রয়োজনীয় দ্রব্য বলে। যেমনঃ খাওয়া-দাওয়া, পোশাক-পরিচ্ছদ, বসবাসের বাড়িঘর, পেশাজীবী, যন্ত্রপাতি ইত্যাদি। যানবাহনের নৌকা, সাইকেল, মোটর, কৃষিকাজের সরঞ্জাম, পড়া লেখার সরঞ্জাম এসব অপ্রয়োজনীয় জিনিসের অন্তর্ভুক্ত। এগুলোর উপর যাকাত ফরজ হবে না।
  • ঋণগ্রস্ত না হওয়াঃ
    ঋণগ্রস্ত ব্যক্তি নিসাব পরিমাণ সম্পদের মালিক হলেও তার উপর যাকাত ফরয হবেনা। কারণ সে জীবনধারণের মৌলিক প্রয়োজনেই এই ঋণ গ্রহণ করেছে। তবে ঋণ পরিশোধ করার পর যদি নিসাব পরিমাণ সম্পদ কারো হাতে থাকে তাহলে তাকে যাকাত দিতে হবে।
  • মাল এক বছরকাল স্থায়ী থাকাঃ
    নিসাব পরিমাণ সম্পদ ব্যক্তির হাতে এক বছরকাল স্থায়ী না হলে,তার উপর যাকাত ফরয হবেনা। হাদিসে আছে, ‘ঐ সম্পদের যাকাত নেই যা পূর্ণ একবছর মালিকানা না থাকে।'(ইবনে মাজাহ)
  • জ্ঞান সম্পন্ন হওয়াঃ
    যাকাত ফরজ হওয়ার অন্যতম শর্ত হচ্ছে জ্ঞান সম্পন্ন হওয়া। জ্ঞান বুদ্ধিহীন তথা পাগলের উপর যাকাত ফরয নয়।
  • বালেগ হওয়াঃ
    যাকাত দাতাকে অবশ্যই বালেগ তথা প্রাপ্তবয়স্ক হতে হবে। শিশু, নাবালেগ যত সম্পদের মালিক হোক না কেন, বালেগ হওয়ার পূর্বে তার উপর যাকাত ফরয হয় না।

শরিয়তের বিধান মতে যাকাত প্রদানের উপর কর্ম পরিকল্পনা

প্রদেয় যাকাতের নিসাব বা নির্ধারণঃ

‘নিসাব ‘আরবি শব্দ। এর অর্থ নির্ধারিত পরিমাণ। শরীয়তের পরিভাষায় যাকাত ফরজ হওয়ার জন্য সম্পদের নির্ধারিত পরিমানকে নিসাব বলে। সারাবছর জীবনযাত্রার প্রয়োজনীয় ব্যস্ত নির্বাহের পর বছর শেষে যার হাতে নিসাব পরিমাণ সম্পদ অবশিষ্ট থাকে, তাকে বলা হয় সহিবে নিসাব বা নিসাবের মালিক। আর সহিবে নিসাবের উপর যাকাত ফরজ। নিসাবের পরিমাণ হলো, সোনা কমপক্ষে সাড়ে সাত তোলা অথবা রুপা কমপক্ষে সাড়ে বায়ান্ন তোলা অথবা ওই মূল্যের অর্থ বা সম্পদ। ঐ পরিমাণ সম্পদ কারো নিকট পূর্ণ এক বছরকাল স্থায়ী থাকলে ওই সোনা, রুপা বা সম্পদের মূল্য চল্লিশ ভাগের এক ভাগ যাকাত হিসাবে দেওয়া ফরজ। কিন্তু সম্পদ নিসাবের কম থাকলে যাকাত দেওয়া ফরজ নয়। এক বছর পূর্ণ হওয়ার আগেই সম্পদ নষ্ট হয়ে গেলে যাকাত দিতে হবে না। কারো হাতে যদি বছরের প্রথমে নিসাব পরিমাণ সম্পদ থাকে, বছরের মাঝে কোন কারণে নিসাব হতে কম হয়ে যায় এবং বছর শেষে আবার নিসাব পরিমাণ সম্পদের মালিক হয়ে গেলে তাকে যাকাত দিতে হবে ।

উদ্দীপকে উল্লিখিত আমার চাচার নগদ উদ্বৃত্তের পরিমাণ চার লক্ষ টাকা। আমরা জানি, চল্লিশ ভাগের এক ভাগ যাকাত হিসেবে দেওয়া ফরজ। অর্থাৎ আমার চাচার যাকাত দিতে হবে
৪,০০,০০০ এর ১/৪০= ১০,০০০ টাকা।

চাচার এলাকায় যাদেরকে যাকাত দেওয়া যাবে তার তালিকা

মাসারিফ অর্থ ব্যয় করার খাত। শরীয়তের পরিভাষায় ইসলামিক বিধান অনুযায়ী যাদেরকে যাকাত দেওয়া যায়, তাদেরকে বলা হয় যাকাতের মাসারিফ।

যাকাতের মাসারিফ অর্থাৎ কোন কোন খাতে যাকাতের অর্থ ব্যয় করতে হবে আল্লাহ তাআলা স্বয়ং তা নির্ধারণ করে দিয়েছেন।

কোরআন মাজিদে বলা হয়েছেঃ

“যাকাত তো কেবল নিঃস্ব অভাবগ্রস্ত ও তৎসংশ্লিষ্ট কর্মচারীদের জন্য যাদের চিত্র আকর্ষণ করা হয় তাদের জন্য, দাস মুক্তির জন্য, ঋণ ভারাক্রান্তদের, আল্লাহর পথে ও মুসাফিরের জন্য,ইহা আল্লাহর বিধান।” (সূরা আত তাওবা, আয়াত ৬০)

যাকাতের মাসারিফ আটটি

  • অভাবগ্রস্ত বা ফকিরঃ
    ফকিরকে বাংলায় গরিব বলা হয়। যাদের কিছুনা কিছু সম্পদ আছে কিন্তু প্রয়োজনের তুলনায় তা যথেষ্ট নয়।জীবিকা অর্জনে অক্ষম ব্যক্তি, পঙ্গু, ইয়াতিম, শিশু, বিধবা, স্বাস্থ্যহীন, দুর্বল এবং যারা দুর্ঘটনা বা প্রাকৃতিক দুর্যোগের শিকার এমন লোকদের যাকাতের খাত থেকে সাহায্য করা যায়।
  • মিসকিনঃ
    যারা নিজের পেটের অন্ন জোগাড় করতে পারেনা এবং অভাবগ্রস্ত থাকা সত্ত্বেও সম্মানের ভয়ে কারো কাছে দ্বারস্থ হয় না,তাদেরকে মিসকিন বলে। মিসকিন কে দেওয়া যায়।
  • যাকাতের জন্য নিয়োজিত কর্মচারী বৃন্দঃ
    যারা যাকাত আদায় করে, রক্ষণাবেক্ষণ করে, রশিদ করে ও হিসাবপত্র রাখে তাদের যাকাতের জন্য নিযুক্ত কর্মচারী বলে। তারা আর্থিক সংগতি সম্পন্ন হলেও যাকাত থেকে তাদের পারিশ্রমিক দেওয়া যাবে।
  • মন জয় করার উদ্দেশ্যেঃ

সদ্য মুসলমান হওয়া ব্যক্তি সমস্যা দূরীকরণে এবং ইসলামের উপর অবিচন রাখার উদ্দেশ্যে তাদের যাকাত দেওয়া যাবে।ইসলামের পরিভাষায় তাদের ”মুআল্লাফাতুলকুলুব”বলা হয়েছে ইসলামের প্রাথমিক যুগে এজাতীয় লোককে যাকাত দেওয়ার বিধান ছিল।

  • মুক্তিকামী দাসঃ
    যে দাস তার মনিবের সাথে নির্দিষ্ট পরিমাণ অর্থ পরিশোধ সাপেক্ষে মুক্তি পাওয়ার চুক্তি করেছে এমন দাসকে মুক্তির মূল্য পরিশোধের জন্য যাকাত প্রদান করা যেতে পারে। বর্তমানে ইসলামের ক্রীতদাস প্রথা চালু নেই বিধায় এই ক্ষেত্রে যাকাতের অর্থ বন্টন করা হয় না।
  • ঋণগ্রস্ত ব্যক্তিঃ
    যে নিজের প্রয়োজন মিটিয়ে ঋণ পরিশোধ করতে অক্ষম তাদের যাকাত দিয়ে ঋণ পরিশোধ করতে সাহায্য করা যায়।
  • আল্লাহর পথেঃ
    এরা আরবি পরিভাষা হল”ফি সাবিলিল্লাহ ”এটির অর্থ জিহাদ। ইসলামের প্রচার ও প্রসারে এবং কুফরী ব্যবস্থাকে নির্মূল করে ইসলামী ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা কে সকল প্রচেষ্টাকে জিহাদ বলে। এরূপ ইসলামের খেদমতে নিয়োজিত ব্যক্তিকে যাকাত থেকে সাহায্য করা যায়।
  • অসহায় প্রবাসী পথিকঃ
    কোন ব্যক্তি সফরে গিয়ে অসহায় অবস্থায় পড়লে বা যাত্রাপথে আর্থিক সংকটের কারণে বিপদে পড়লে সাময়িকভাবে তাকে যাকাতের অর্থ প্রদান করা যায়। পরিশেষে বলা যায়, যাকাত বন্টনের উত্তম পন্থা হলো, যাদেরকে প্রধান করা যায়, তাদের একজনকে বা একটি পরিবারকে যাকাতের সম্পূর্ণ অর্থ দিয়ে স্বাবলম্বী করে দেওয়া।

যাকাত হিসেবে তিনি যা দিতে পারে তার তালিকা

যাকাতের মাধ্যমে সমাজের ধনী-দরিদ্রের মধ্যকার বিরাজমান বৈষম্য দূর হয়। তাদের মধ্যে অর্থনৈতিক সমতাক্ষেত্র প্রস্তুত হয়। আল্লাহর নির্দেশ মত যথাযথভাবে যাকাত প্রদান করলে সমাজে কোন লোক অন্নহীন, বস্ত্রহীন, গৃহহীন থাকবে না। কেউ না খেয়ে থাকবে না, আবার কেউ বিনা চিকিৎসায় কষ্ট পাবে না। সম্পদশালী ব্যক্তিদের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় যাকাত ও সাদকার অর্থে অভাবীদের প্রয়োজন মিটিয়েও অনেক জনহিতকর এবং কল্যাণমূলক কাজ করা যায়। বহু দরিদ্র ব্যক্তিকে অর্থনৈতিকভাবে স্বাবলম্বী করে তোলা যায়। স্বাস্থ্যবান দরিদ্র শ্রমিককে তার শ্রমের উপযোগী উপকরণ দেওয়া সম্ভব হয়।

সুতরাং আমার চাচা দরিদ্রদের জন্য সেবামূলক প্রতিষ্ঠান প্রতিষ্ঠান যেমনঃ এতিমখানা, দাতব্য চিকিৎসালয় ইত্যাদি প্রতিস্থাপন করতে পারে ।এমনিভাবে সম্মিলিত প্রচেষ্টা চালালে এমন এক সময় আসবে যখন যাকাত গ্রহণ করার লোক খুঁজে পাওয়া যাবে না। ইসলামের প্রথম যুগে এমন পদক্ষেপ গ্রহণের ফলে অপূর্ব সাফল্য অর্জিত হয়েছিল। দৃষ্টান্তস্বরূপ খলিফা হযরত ওমর ইবনে আবদুল আজিজ (র.) এর যুগের কথা উল্লেখ করা যায়। ইসলামী যাকাত ব্যবস্থাপনার ফলে তার যুগে যাকাত নেওয়ার মতো লোক খুঁজে পাওয়া কষ্টকর ছিল। ইসলামী যাকাত ব্যবস্থা গোটা সমাজকে কৃপণতা, সংকীর্ণতা,স্বার্থপরতা, হিংসা-বিদ্বেষ প্রভৃতি বদঅভ্যাস থেকে পবিত্র রাখে এবং পরস্পরের মধ্যে ভালোবাসা, ত্যাগ, মমত্ববোধ ইত্যাদি আরো সুদৃঢ় করে।

Similar Posts